’’নো বিফ রেস্টুরেন্ট’’ সংস্কৃতির আগ্রাসনে বাংলাদেশ


ঔপনিবেশিক আমলে সাদা চামড়ার খ্রিস্টানদের দ্বারা উপমহাদেশের জনগণ এবং আফ্রিকার কালোদের উপর পরিচালিত নিপীড়ন ও অবজ্ঞার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিভিন্ন পুস্তকে উল্লেখ রয়েছে যে, তারা তাদের বিভিন্ন ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের সদর দরজার সম্মুখে নোটিশ ঝুলিয়ে দিতো “এখানে নেটিভদের প্রবেশ নিষিদ্ধ” বা “কালোদের প্রবেশ নিষিদ্ধ” ইত্যাদি।

এরকম চরম অবমাননাপূর্ণ কথাও নোটিশে লেখা থাকতো যে, ”ফড়মং ধষষড়বিফ নঁঃ হড় হধঃরাবং”, কুকুরের প্রবেশাধিকার থাকলেও নেটিভদের নেই।

  • কিন্তু ওইসব অবমাননা পূর্ণ নোটিশও এতটা ব্যাপকভাবে সাদা চামড়াদের প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে দেয়ালে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকত না, যেভাবে ছড়িয়ে থাকে আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরের হোটেল রেস্টুরেন্টের দেয়ালে দেয়ালে ‘নো বিফ’ নোটিশটি।

ঢাকা শহরে ‘No Beef’ সাটানো হোটেলের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান । কোনো এক অজানা ষড়/যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজধানী । কলিজায় আঘাত লাগে। বুকের ভেতরে কোথায় যেন একটা শব্দ শুনি। কীসের ব্যাথার গুঞ্জন শুনি যেন!

  • একটা বৃহৎ ষড়/যন্ত্র গোট পাকাচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না! নো বীফ রেস্টুরেন্ট, গরু গো-শতে এই রোগ সেই রোগ, কুরবানি অ/মানবিক প্রচারণা ইত্যাদি একই সূত্রে গাঁথা কিনা কে জানে!

মনে হচ্ছে, একটি সামগ্রিক আগ্রাসন চলছে নীরবে। ‘নো বীফ’ প্রকল্প তারই অংশ। বোকা বাঙাল মুসলমান হোটেল মালিকরাও সে ফাঁদে পা দিচ্ছে, না জেনেবুঝে অথবা চাপে পড়ে অথবা চ-ক্রান্তের জালে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করছে না, নীরবেই চলছে সবকিছু।

বর্তমানে মুসলমানদের এদেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে, পরাধীন জনগোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করা হয়। বিপরীতে অমুসলিমদের গণ্য করা হয় ভিভিআইপি হিসেবে, সর্বক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

  • কারণ কথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার নামে এদেশের যত্রতত্র যে ’নো বিফ’ হোটেলগুলো খোলা হয়েছে, সেই নো বিফ মানে যে ‘নো ইসলাম’, সেই নো বিফ মানে যে ‘নো মুসলমান‘ এটাই অথর্ব মুসলমানদের ফিকিরে কাজ করে না।

তাই অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানদের আওয়াজ তোলা জরুরী। আর যেসব হোটেলে/ রেস্টুরেন্টে ‘নো বীফ’ লাগানো থাকবে, ওখানে কোন মুসলমান যেনো না খেয়ে বেরিয়ে আসে; এটাই চাই আমরা।

তথ্যসূত্র:

* আল ইহসান পত্রিকা -১৫ই ফেব্রু: ২৩,

*SEAN Publication- ২৬ই আগস্ট ২৩।


Like it? Share with your friends!

0 Comments