ক্লোজআপ দ্বিধাহীন কাছে আসার গল্প?
ঈমানের সবচেয়ে নিম্নতম শাখা হোল মনে মনে ঘৃণা করা, আজ তারই আলোকে প্রতিবাদ করছি এই অসার গল্পের মুল উদ্দেশ্য কি এবং তার উপজীব্য কাদেরকে করা হচ্ছে।
আগে আসি ক্লোজআপের থিম, ছবি ও শব্দচয়নে কি কি প্রতিচ্ছবি একজন দ্বীনদার মুসলমানের মানসপটে ভেসে উঠে, এই আলোচনায়।
থিম বলে দিচ্ছে সরাসরি ধর্মের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আস। যে টুকু তোমার রক্ষণশীলতাও আছে, তাও ঝাড়ুপেটা করে নিংড়ে দাও। তুমি রক্ত মাংসের মানুষ! তোমার জৈবিক চাহিদা, তোমার অধিকার। সাত পাঁচ ভাবার অবকাশ দিও না। যে যে ভাবে পার নিজেকে উপভোগ করে নাও, আর কয় দিন! তুমিতো দুনিয়াতে অমর নও। সময় তোমাকে ডাক দিচ্ছে, আজই, এখনই! এটা কোন পশুত্ব স্বভাব না! আর হলেই বা কি? তোমাকে বলার কেউই নেই। আমরা আছি তোমার সাথে। তুমিতো জানই আমরা মালটিমিলিওনিয়ার! আইন বল, ক্ষমতা বল, দেশ বল, সব আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরাই তোমাকে হিরো বানাচ্ছি, এটা কি কম কথা? তোমার যশ খ্যাতি আজ আমাদের কারনেই।
ছবি আমাদেরকে সাহস যোগাচ্ছে যে, তোমার কোন জাতপাত নাই, তোমার কোন ধর্ম নাই, তোমার কোন সংস্কৃতি নাই, তোমার কোন লাজ-লজ্জা নাই, তোমাদের পরিবারের কোন ঐতিহ্য নাই। সব পার করে এস,সব চেয়ে যে কথাটা সত্য তা হোল তোমরা এখন যৌবনের দারপ্রান্তে! সব মাধ্যমতো ফকফকা! সব চ্যানেল এখন ওপেন! তাই প্রথমে কালক্রমে দেখা, তারপর কিছু কথাবার্তা, লাজুকতা ঝেটে বের হয়ে আস উভয়েই। মিলেমিশে একাকার হয়ে যাও, এইতো আনন্দ, ফুর্তি, উল্লাস।
শব্দ এমনি একটা আনবিক বোমা যে মানুষকে খুব সহজেই ঘায়েল করতে পারে। বলা হচ্ছে, যে টুকু লজ্জাবোধ, সম্ভ্রম, সম্মান, ঐতিহ্য, উভয়ের ছিল তা বের করে দাও, রিপু কি বলে শোন, মনকে বাঁধা দিও না! এইতো সময়! বলগা ঘোড়ার মতো ছুটে বেড়াও। জড়িয়ে ধরো। আরও কত কি।
হায়!, কি পরিতাপ, ৯০% অধ্যুষিত মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও কি ভাবে আমরা উলটোরথে চড়ছি, তা ভাবার কেওই কি নাই। আমরা যে শুধু নামে মুসলিম এই বিজ্ঞাপন আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে। সরকার ও আমরা যারা সাধারণ জনগণ সবাই একই তরীর যাত্রী। একে অন্যকে দোষারোপ করে কোন লাভ নাই। তাদের পশ্চিমা মিশনকে চরিতার্থ করার জন্য তাদের যে লোকবল, অর্থ ও পেশী শক্তি ব্যবহার করছে, তার কাছে আমরা একেবারেই নতজানু হয়ে পড়েছি। আমাদের একশ্রেণীর ভাই বোনরাতো উম্মুখ হয়ে আছে, এমন একটা প্রকল্পের। যেখানে হাতছানি দিচ্ছে, অর্থ, বৈভব, পরিচিতি সর্বোপরি একেবারে বিদেশি হয়ে যাওয়া বা তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিনিধি হওয়া। আসলে তারা সবাই মিলে চায় এই দেশ থেকে ইসলাম যেন ধুয়ে মুছে চলে যায়। বৈশ্বিক ক্রমিক নাম্বারে আরও একটা দেশ তাদের নথীতে যেন উঠে। প্রান্ত সীমানা যেন নূতন করে অঙ্কিত করা যায়। মানচিত্রের আকার তাদের পক্ষে আর একটু বড় হয়।
ইসলামের প্রতি তাদের এই জিঘাংসা এবং কুটচাল অনেক পুরনো। যুগে যুগে তারা তাদের ক্ষমতা, শক্তি, অর্থ দিয়ে বারবার এই অনভিপ্রেত অভিযান চালিয়ে এসেছে, কোন সময় আমরা ধরা দিয়েছি, কোন সময় আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করছি। যখন আমাদের কিছু লোক অর্থ বিত্ত, ক্ষমতা ও পরিচিতির মোহে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তখনই ধস নেমে পড়ে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ভারত উপমহাদেশের নবাব সিরাজদ্দৌলার পতন ও তুরুস্কের কামাল আতাতুর্কের ক্ষমতা দখল।
আজকের এই নিবন্ধ তাদেরকে লক্ষ করেই লিখা, তাদের জন্য কিছু নসিহত, যদি কাজে লাগে। স্বল্পতম যে বিশ্বাস অন্তরে পোষণ করতে হবে যে আমি মুসলমান এবং আমাকে এক দিন আল্লাহ্ তা’আলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে এবং মৃত্যু আসন্ন।
১) ইসলামের শত্রুরা কোন কালেই একেবারে নিশ্চিহ্ন হবে না, তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে তারা কামিয়াব হবে না শেষপর্যন্ত, আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ- আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী। (সুরা মাইদাহ, আয়াত ৫৬) অতএব তাদের কথায় বিশ্বাস রাখবেন না, তারা আপনাকে তাদেরই একজন করতে চায়, আর যার শেষ গন্তব্য জাহান্নাম।
২) আবু মাসউদ বদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষ পূর্ববর্তী নবীদের বাণী থেকে এ কথা জেনেছে যে, ‘যখন তোমার লজ্জা নেই তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই কর।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৬৯) যে শব্দ ক্লোজআপ ব্যবহার করেছে তা হোল “ দ্বিধা্” একটু খতিয়ে দেখেন, এই দ্বিধা বলতে তারা কি বুঝিয়েছে, আপনার মধ্যে যে লাজুকতা, হায়া, শরম আছে, তারা বলছে এক নিমেষেই আপনি সাহসের সাথে তা পরিত্যাগ করুন, দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে দিন, সাহস দেখান, “opposite sex” এর হাত ধরুন, গল্প করুন, সয়তানের প্ররোচনায় উত্তেজিত হউন এবং সবিশেষ আমাদেরকে সেই গল্প শুনান যেন আমরা যারা এখনো এই রাস্তা মাড়াই নাই তারা যেন এ থেকে টিপস নিতে পারে। একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন, এই কর্ম আপনাকে বা আপনার ভাই বা বোনকে দিয়ে তারা তা করাতে চায়। তারা চায় আপনারা উপভোগ করুন আর রসালো ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করুন। পশু আর আপনার আমার মধ্যে শুধু একটাই পার্থক্য, তা হোল সে তার ক্রিয়াদি সবার সামনে করে আর আপনি আমি লুকিয়ে করি, কাজ কিন্তু একটাই।
৩) নারী পুরুষের মধ্যে প্রাকৃতিকগত ভাবে যে রিপু তাড়না করে তা থেকে আমাদের কারোরেই কিন্তু রেহাই নাই, এমন কি পূর্বের অনেক উদাহরণ এ বিষয়ে আমাদের থলিতে আছে। তাইতো আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে সাবধান করেছেন, বিয়ে পূর্ব সব রকমের (মাহরাম ব্যতিত) নারী পুরুষের মেলামিশা হারাম। এ জন্যই আল্লাহ্ তা’আলা পর্দার বিধান পুরুষ ও নারী সবার জন্য ফরজ করেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, (হে নবী) মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তবে যা সাধারণত (অনিচ্ছা সত্ত্বে) প্রকাশিত হয়ে যায় তা ভিন্ন। তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষকে আবৃত করে রাখে।
আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্য কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন তাদের গোপন সাজ্জসজ্জা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। (সূরা নূর: ৩১)
ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার নিমিত্তেই করেছে। মানবসমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দা বিধানের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বর্তমান সমাজের যুবক ও তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা ও নারীজাতির নিরাপত্তার জন্য পর্দা-বিধানের পূর্ণ অনুসরণ এখন সময়ের দাবি। মূলত পর্দাহীনতার কারণে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, অপকর্ম ও ব্যভিচারের মতো নিকৃষ্ট পাপের সূচনা হয়। যার কারণে ইভটিজিং, ধর্ষণ ও যৌন সন্ত্রাস প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে নানা অঘটনসহ ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়। যার বাস্তব চিত্র নিত্যদিনের সংবাদপত্র খুললেই চোখে পড়ে।
এছাড়াও পর্দাহীনতার কারণে পরকিয়া ও চরিত্রহীনতার মতো ঘৃণিত কর্মের সূত্রপাত হয়। যার ফলে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস উঠে যায়। এতে পরিবারে অশান্তি ও বিপর্যয় নেমে আসে। যার বাস্তবতা আজ আমাদের নখদর্পণে।
মূলত পর্দাহীন নারীরা হচ্ছে জগতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট নারী। তাদের ব্যাপারে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচে নিকৃষ্ট তারাই যারা পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে। (বায়হাকী: ১৩২৫৬) আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, সূরা নুরের ৩০ নম্বর আয়াতে, ‘মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে জানেন।’ এবার আপনিই বলুন তাহলে কি ভাবে একজন আরেকজনের কাছে আসবে?
ভ্যালেন্টাইন দিবসে তারা আপনার লজ্জাস্কর গোপন, নিজেদের মধ্যে লালিত, পরিবারের কাছে যা বলা যায় না, নাম ঠিকানা বিহীন ভাবে পত্রিকার পাতায় ছাপিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিবে আর আপনি হয়ে উঠেছেন তাদের সেরা প্রোডাক্ট, মনে রাখবেন আপনার এই গোপনীয়তা আর গোপন থাকলো না, কালক্রমে আপনি হয়তো এর খেসারতও দিবেন। বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত। আর এ প্রসঙ্গে হাদিসটি বলে রাখি, ‘হে সেই সব লোকজন, যারা মুখে ঈমান এনেছ কিন্তু এখনো ঈমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি, তোমরা মুসলিমদের ‘গোপনীয়’ বিষয় খোঁজে বেড়িও না। যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি তালাশ করে বেড়াবে আল্লাহ্ তালা তার দোষ-ত্রুটির অন্বেষণে লেগে যাবেন। আর আল্লাহ্ তা’আলা যার ত্রুটি তালাশ করেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন।’ (সুনানে আবু দাউদ-৪৮৮০) যে অপকর্ম আপনি বৎসরের পর বৎসর করে বেড়াচ্ছেন, আল্লাহ্ তা’আলা তা এতো দিন গোপণ রেখে এসেছেন, যেন আপনি তওবা করে ফিরে আসতে পারেন, অথচ আজ আপনি নিজেই তা জন সম্মুখে প্রচার করে দিয়েছেন। তাই বলছি কোন ক্রমেই ক্লোজআপে আপনার কোন অনৈতিক, শ্রুতিকটু ও সর্ব সাধারণে অপঠনযোগ্য গল্প পাঠাবেন না। অন্তত এ সুযোগ থাকবে যে মৃত্যু পূর্ব আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার। আর যদি পাঠান তবে মনে রাখবেন, আপনি অনেক অনেককে আপনার অপকর্মের সাক্ষী বানিয়ে দিয়েছেন মনের অগোচরে। যারা কাল কিয়ামতে আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে আপনার উক্ত বিষয়ে সাক্ষ্য দিবে।
আমাদের করনীয়:
উপরের সব গুলো ঐশী বানী আমাদের জন্য একান্ত পালনীয় তাতে কোন দ্বিধা করার সুযোগ নাই। এছাড়া বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের আরও কিছু করনীয় আছে যা নিম্নরূপঃ-
ক) প্রথমেই ক্লোজআপের উক্ত এজেন্ডাকে ধূলিসাৎ করতে হলে প্রত্যেক মুসলিম নর নারীকে তাদের উৎপাদিত সমস্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার বর্জন করতে হবে, তবে মনে রাখবেন ফেইসবুক, টুইটার, ইয়ুটিউব এ কিছুদিন হৈ হুল্লোড় করে তৈল বিহীন চেরাগের মত নিভে গেলে হবে না, আপনাদের সামনে প্রকৃষ্ট উদাহরণ হোল, আড়ং, কিছু দিন বর্জনের পর এখন তাদের আউটলেটে রীতিমত আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি, তেমন যেন না হয়। আর্থিক পুষ্টটাই একটি কোম্পানির মুল চালিকা শক্তি, তাদের প্রস্তুতকৃত মাল আপনি না ক্রয় করলেই তাদের সব আয়োজন ভাটা পড়ে যাবে, এমনকি তাদের পরিবার নিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে উৎযাপনও। একটা কথা মন দিয়ে বিশ্বাস করুন আপনার আমার টাকা দিয়েই তারা এই হোলি উতসবের আয়োজন করেছে।
খ) সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা, যারা আমাদের ঐতিহ্য, ইসলামী সংস্কৃতি, ধারা, সম্মানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকারন্তের যা আমাদের দেশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যপ্রথার জন্য হুমকী হয়ে দাড়াচ্ছে।
গ) ক্লোজআপের কারা এই ইন্ধনের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, যা খুবই সহজ কাজ। যে নিয়মে সিনেমা তৈরী করে সেন্সর বোর্ড এর কাছে ছাড়পত্রের জন্য ছবি জমা দিতে হয়, সে রুপ বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সেন্সর বোর্ডের নিকট থেকে ছাড় পত্র নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যে গুলো সার্বিক ভাবে দেশের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় প্রথার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে, আর্থিক বিষয়টাও এখানে প্রণিধানযোগ্য।
ঘ) ধনকুবের মিডিয়াগুলোকে আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে। পশ্চিমা ধারার প্রধান তল্পিবাহক এখন তারা। ঐ সব সংস্কৃতি আমদানীর পুরো লাইসেন্স এখন তারা হাতে পেয়ে গেছে সরকারের মিডিয়া নীতির কিছু সংস্কারে। খোঁজ নেওয়া উচিত তাদের অর্থের প্রকৃত যোগানদার কারা? আজ এই যে ভ্যালেন্টাইন ডে, পালিত হবে তারই হোল, তার বড় এজেন্ট, এদিকে লিখে যায় সরকারের নৈতিক দুর্বলতা প্রতিনিয়ত আবার অন্য দিকে তাই উস্কে দেয় হাজার টন আকারে।
সবার কাছে একান্ত অনুরোধ বিষয়টি নিয়ে অন্তত একবার ভাবুন, টাকা আমাদের পকেটের, উড়াচ্ছে তারা।
মিজানুর রহমান ছিদ্দিকী
সম্পাদক
মুসলিমউম্মাহ.নিউজ
০১৭১১৮৯০০৭৭
0 Comments