জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নিয়ে ইতোমধ্যে আলেম ওলামা এবং আমাদের সম্মানিত দায়ীরা যথেষ্ট কথা বলেছেন। শুধুমাত্র কতিপয় ইসলামিক পলিটিক্যাল দলগুলো এখনো নিরব থেকে সব কিছু দেখে যাচ্ছেন এবং তাদের এই নিরবতা জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের বিরুদ্ধে যারা দাড়াচ্ছে তাদেরকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
যাই হোক, মানবাধিকার অফিস কোন গুপ্ত অফিস না। তারা যা করবে তা তাদের এজেন্ডাতে ঘোষণা করাই আছে। আন্তর্জাতিক যেসব আইনের অনুপস্থিতি একটি দেশে থাকে তাদের উদ্দেশ্য মূলত সেই আন্তর্জাতিক আইন গুলোকে একটি দেশে বিধিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করা। এবং স্বাভাবিকভাবেই এই আন্তর্জাতিক আইন হল সরাসরি ইউরোপ এবং আমেরিকার নিয়ন্ত্রিত আইন। বহুদেশে কোটি কোটি মানুষের উপর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার চালানোর পর তাদের নিকট যে যে জিনিস মানবাধিকার হিসেবে মনে হয়েছে সেগুলোকেই তারা এসব আন্তর্জাতিক আইনে প্রবেশ করায়। উল্লেখযোগ্য কনভেনশন যেগুলোর উপর ভিত্তি করে UNHR তাদের কাজ পরিচালনা করবে সেগুলো হল : UDHR , ICCPR প্রভৃতি।
ইউএস এইডের ব্যবসা চুকানোর পর ব্রাক আমব্রেলা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিল। এখন আবার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নিকটে দায়িত্ব চলে যাবে যারা এলজিবিটি কমিউনিটির যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকাতে ডেমোক্রেট আসলে ডেমোক্রেট সরকারের সাথে আলাপ করে বাংলাদেশকে এসব বস্তাপঁচা ইস্যু নিয়ে প্রেসারাইজ করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মানবাধিকার অফিস নানামূখী কাজ করবে। কিন্ত আপাতত তারা কি কি স্টেপ ফলো করে একটা দেশে এলজিবিটি সহ সেক্স্যুয়াল যত প্রকার অযাচার আছে সেগুলোর বৈধতাদানের পক্ষে কাজ করবে সেগুলো নিচে তুলে ধরছি।
এগুলো তাদের ওয়েব সাইটেরই বয়ান। তাদের একটা বই আছে Born Free and Equal সেই বই থেকে তাদের এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তাদের অফিস হওয়ার পর কন্টিনিয়াসলি বাংলাদেশ সরকারের উপর এই স্টেপগুলো ব্যবহার করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই লিবারেল ডিপ স্টেইট যেভাবে বিশ্বকে কন্ট্রোল করছে তাতে করে ভবিষ্যতে কোন গণতান্ত্রিক সরকার তাদের এই আহবানকে অস্বীকার করতে পারবে এরকম কোন সম্ভাবনা আমি দেখি না। আমি জানি না, এই বঙ্গের মুসলিমেরা এই আযাব থেকে নিজেদেরকে কিভাবে রক্ষা করবে কিন্ত এতটুকু জানি আমাদের প্রথম এবং শেষ আশ্রয়স্থল ঐ একজনই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ সুবহানা ওয়া তায়ালা
এলজিবিটি অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানবাধিকার অফিসের পাঁচ পদক্ষেপ-
১. সুরক্ষা প্রদান করুন
সমকামী ও ট্রান্সফোবিক সহিংসতা থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিন। ঘৃণাজনিত অপরাধ আইনসমূহে যৌন অভিমুখিতা ও লিঙ্গ পরিচিতিকে সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করুন। ঘৃণামূলক সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড ও প্রতিবেদন করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। এই ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে কার্যকর তদন্ত ও অপরাধীর বিচার ব্যবস্থা চালু করুন। আশ্রয় আইন ও নীতিমালাগুলোতে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যে, কারও যৌন অভিমুখিতা বা লিঙ্গ পরিচিতির কারণে নিপীড়নের শিকার হওয়া একটি বৈধ আশ্রয়ের দাবি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
২. নির্যাতন প্রতিরোধ করুন
আটক অবস্থায় থাকা এলজিবিটি ব্যক্তিদের উপর নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ বন্ধ করুন এবং এই ধরনের আচরণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় করুন। নিশ্চিত করুন যে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত সকল নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করুন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনুন। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিন এবং আটককেন্দ্রগুলোর কার্যকর পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করুন।
৩. বাতিল করুন
সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এমন আইন বাতিল করুন, বিশেষ করে সেই সব আইন যা সম্মতিসূচক প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গ ব্যক্তিদের গোপন যৌন সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করে। নিশ্চিত করুন যে কেউ শুধুমাত্র তাদের যৌন অভিমুখিতা বা লিঙ্গ পরিচিতির কারণে গ্রেপ্তার বা আটক না হয় এবং তাদের উপর ভিত্তিহীন ও অবমাননাকর শারীরিক পরীক্ষার শিকার না হতে হয়।
৪. বৈষম্য নিষিদ্ধ করুন
যৌন অভিমুখিতা ও লিঙ্গ পরিচিতির ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করুন। এমন বিস্তৃত আইন প্রণয়ন করুন, যেখানে যৌন অভিমুখিতা ও লিঙ্গ পরিচিতিকে বৈষম্যের নিষিদ্ধ ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বিশেষভাবে, মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে, যেমন কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবায়, বৈষম্যহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন। বৈষম্য ও এলজিবিটি ও ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের প্রতি কলঙ্ক রোধে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করুন।
৫. সুরক্ষা দিন
এলজিবিটি ও ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের মতপ্রকাশ, সংগঠন গঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করুন। এই অধিকারগুলোর ওপর আরোপিত যেকোনো বিধিনিষেধ অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং
0 Comments