সমকামিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, অপরকে বাঁচান, নিজে বাঁচুন (পর্ব-০২)


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ঘোষণা অনুযায়ী, প্রিয় নবীর কথা অনুসারে, ইতিহাসের পাতায় মুসলিমরা বীরের জাতি, অকুতোভয়, দুঃসাহসী কিন্তু আমাদের আচারণে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে আমরা সত্যের পথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা থেকে বহু পিছিয়ে।

শুনুন,  স*মকামিতা বা এলজি@টিভি মতাদর্শ নিয়ে কথা বলতে কেন  দ্বিধা, সংশয় এবং ভয় নেই…

গত ৬-মাসে এই ইস্যুতে বিশ্বে অভাবনীয়  জনমত তৈরী হয়েছে যা গত বছরও অকল্পনীয় ছিল। মানসিক  সাহসের জন্য কিছু তথ্য তুলে ধরছি-

.

১।  বিখ্যাত ইলনমাস্ক (যিনি টুইটার কিনেছেন) এই ইস্যুতে সোচ্চার। আগে টুইটার এসমস্ত খবর ফিল্টারিং করত। এখন তিনি নিজেই নিয়মিত পোষ্ট দিচ্ছেন। What is a women ডকুমেন্টারী শেয়ার করেন যা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে।

২। কানাডা, আমেরিকার লক্ষ লক্ষ পিতামাতা রাস্তায় নেমেছেন। গত সেপ্টম্বরের ২০ তারিখে কানাডায় ১০ লক্ষ পিতামাতা কানাডা জুড়ে রাস্তায় নামেন।

৩। ইংল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী সুনাক গতকাল সরাসরি বলেছেন ছেলে থেকে মেয়ে, বা মেয়ে থেকে ছেলে হতে পারে না। এটা কমন সেন্স।

৪। ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে জেন্ডারের সংজ্ঞা পালটিয়ে দিবেন। এটা বলতে শুধু ছেলে ও মেয়ে বুঝাবে।

৫। তুরুষ্কের এরদোগান নির্বাচনের জয়ী হয়ে যে বক্তব্য দেন তাতে বলেন যারা তাদের দেশে এটা কায়েম করতে চেষ্টা করবে তাদের টুটি চেপে ধরবেন। সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘকে এলজিটিভি কালার ফ্ল্যাগের কারনে অভিযোগ করেন। 

৬। পশ্চিমা ইসলামিক স্কলাররা সরাসরি কথা বলছেন । এটা ইসলামিক ইস্যু। তাই পশ্চিমা সংবিধান মানতে বাধ্য নয় যা ইয়াসির ক্কাদি পর্যন্ত প্রচার করছেন।

৭। ডেমোক্রেট লিডার  জে এফ কেনেডি নিয়মিত এ বিষয়ে সচেতন করছেন। নিজের পার্টিকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন এই ইস্যুতে।

৮। প্রেসিডেন্ট পু’তিন সরাসরি স*কামিতা মতাদর্শ নিয়ে কথা বলছেন। কড়া আইন করেছেন।

৯। চায়নাতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রংধনু ফ্ল্যাগ নিয়ে দৌড় দিয়েছিল তাদেরকে জেলে ভরা হয়েছে।

১০। মালেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সরাসরি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। রঙধনু করা সোয়াচ ঘড়ি পড়া নিষিদ্ধ করেছেন। ৩ বছরের জেলে হবে।

১১। প্রায় পুরো আফ্রিকা এই মতাদর্শের বিরুদ্ধে।

১২। লিবিয়ার আলেমরা এই বিষয়ে ফতুয়া দিয়েছেন। জে-ন্ডার পরিভাষা ব্যবহার করা হারাম।

১৩। পা-কিস্তানের  কোর্ট শব্দের মারপ্যাঁচ দেয়া ট্রা-ন্স বিল বাতিল করে দিয়েছে কেননা এটা ঈমানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে যিনা প্রমোট করা হয়, উত্তরাধিকার ইস্যু নিয়ে সমস্যা তৈরী হবে ইত্যাদি।

১৪। বিখাত নারীবাদী যেমন হ্যারি পটারের লেখিকা JK Rowling, প্রফেসর ক্যাথলিন স্টকসহ আরো অনেকে সোচ্চার কেননা এতে নারীর পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে।

১৫। বিখ্যাত নাস্তিক্য এবং ডারউইনবাদী প্রফেসর রিসার্চ ডকিন্স এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।

১৬। অনেক বিখ্যাত সাংবাদিক এই বিষয়ে খুবই জোড়ালো অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে ইকোনিমিস্টের Helen Joyce, অস্ট্রেলিয়ার স্কাই প্রতিনিয়ত রসিয়ে রসিয়ে এই বিষয়ে সোচ্চার…

আরো অনেক রেফারেন্স আছে…

এই অবস্থা আমরা কেন দ্বিধাদন্দ্বে সংশয়ে ভুগছি? আমাদের দেশে আইডিকার্ডে ওরা নাম পরিবর্তন শুরু করেছে।  মনে রাখবেন, এটা কোন পলিটিক্যাল_ইস্যু নয়। বাংলাদেশের কোন দলই এটা সাপোর্ট করবে না। এটা সব ধর্মের ইস্যু।  এটা আমাদের সন্তানের ইস্যু, এটা আমাদের আগামী প্রজন্মের ইস্যু, এটা আমাদের অধিকারের ইস্যু,…

এটি সিরিয়াস ইস্যু না হলে বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা  এত সোচ্চার হতেন না,  ঘুম থেকে জেগে উঠুন, ভয় নেই… সোচ্চার হোন সব জায়গায়…..


Like it? Share with your friends!

0 Comments